প্রকাশিত,৩০,সেপ্টেম্বর
গাজীপুর:
গাজীপুরের শ্রীপুরের কাওরাইদ বাজারে স্থানীয় সিরাজ ভান্ডারী তার স্ত্রীর জুলেখা খাতুন এর নামে রেলের জায়গায় লীজ নিয়ে দীর্ঘদিন ব্যবসা করে আসছে। দীর্ঘদিনের দোকান ঘরটি সংস্কার না করায় ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়। পরে দোকান ঘরটি সংস্কার কাজ করার জন্য উদ্যোগ নিলে স্থানীয় প্রভাবশালী উক্ত দখলিও দোকানঘরটিতে কাজ করতে বাধা দেয় এবং দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং ৭-৮ জনকে অজ্ঞতানামা করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী জুলেখা খাতুন।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের কাওরাইদ মোড়ল পাড়া গ্রামের নইমুদ্দিন মন্ডলের ছেলে আফজাল মন্ডল ও আলতাফ মন্ডল এবং কাওরাত ইউনিয়নের বেলদিয়া গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে লুৎফর রহমান।
অভিযুক্ত আফজাল মন্ডল বলেন, বিষয়টা আমি সমাধানের জন্য তাদেরকে ডেকেছি। তারা আসলে আমি সমাধান করে দেব। তাদের বাড়িতে গিয়ে তো আমি সমাধান করে দিতে পারব না। আরেক অভিযুক্ত আলতাফ মন্ডল বলেন, মারামারি আমি করিনি আমার ভাগিনা ওদেরকে মেরেছিল।
ভুক্তভোগী জুলেখা খাতুন জানান, কাওরাইদ রেলস্টেশন সংলগ্ন রেলের জমি আমার নিজনামে লীজ নিয়া উক্ত জমিতে দোকান পাট নির্মান করিয়া প্রায় ২০ বছর যাবৎ ভোগ দখল করিয়া আসিতেছি। বর্তমানে উক্ত লীজকৃত জমির ২টি দোকানঘর ভাঙ্গিয়া মেরামতের কাজ শুরু করিলে গত ২৪/০৯/২০২৪ইং বেলা অনুমানিক এগারোটার দিকে লীজকৃত জমিতে রাজমিস্ত্রিরা কাজ করিতে থাকাবস্থায় অভিযুক্ত বিবাদীগন সহ আরো ৭/৮ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দা, লাঠি, লোহার রড ইত্যাদি অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমার লীজকৃত দোকানঘরে জোরপূর্বক প্রবেশ করিয়া আমার নিকট ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করিলে তাহারা আমার কাজে বাধা প্রদান সহ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময়
আমাকে কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং ২নং বিবাদী আমার
পড়নের কাপড়ে ধরিয়া টানা হেচড়া করিয়া কাপড় ছিড়িয়া শীলতাহানী করে। আমাকে রক্ষা করিতে
রাজমিস্ত্রী আল-মামুন, আলমগীর ও ফেরদৌস আগাইয়া আসলে তাহাদেরকেও মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এ সময় রাজমিস্ত্রী আল মামুনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া আঘাত করিলে আল-মামুনের নাকে লাগিয়া হাড় ফাটা রক্তাক্ত গুরুত্বর জখম হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে থেকে আল-মামুনকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবদীন বলেন, অভিযোগটি দেখিনি দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
####
গাজীপুর
৩০.০৯.২০২৪
আপনার মতামত লিখুন :