ওদের হাতটা গুটালেই অনুমোদনবিহীন ট্রাক্টর, ট্রলি,নছিমন সড়কে চলা বন্ধ ও দূর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব ।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৪-১১-২০, ১:৫০ অপরাহ্ন /
ওদের হাতটা গুটালেই অনুমোদনবিহীন ট্রাক্টর, ট্রলি,নছিমন সড়কে চলা বন্ধ ও দূর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব ।

প্রকাশিত,২০,নভেম্বর

মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জ

জমি চাষ করা ট্রাক্টর, স্যালো মেশিন দিয়ে তৈরি নসিমন, করিমন গাড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা, ইজিবাইক, স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের চালিত সাইলেন্সার বিহীন মোটর সাইকেল সহ সকল অবৈধ গাড়ি চলাচল বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারলে গোপালগঞ্জ হবে পরিছন্ন ও যানজট মুক্ত শহর। এ সকল গাড়ি শহর ও জেলার উপজেলা গুলোর প্রধান সড়কে অবাধে চলাচলের কারনে মৃত্যু হয়েছে অনেকের তার মধ্যে গত ৩০ ডিসেম্বর সন্ধার পর টুঙ্গিপাড়ার কুশলি এলাকার মোড়ে স্যালো মেশিন চলিত লাইসেন্স বিহীন ট্রলি গাড়ির চাপায় মর্মান্তিক মৃত্য হয় গোপাললগঞ্জ শহর ব্যাংকপাড়া পদ্মপুকুর পাড়ের সিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ এর পুত্র যুবনেতা রফিকুল হাসান রাজ (২৬)।এ ছাড়াও ভোর বেলা হাটতে বের হয়ে বাড়ি ফিরেছে লাশ হয়ে এরুপ ঘটনাও ঘটেছে গোপালগঞ্জ শহরে।
যে সকল গাড়ি মাঠে ময়দানে জমি চাষের কাজে ব্যবহার করার কথা সেই সকল গাড়ি গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগে কিছু অসাধু কর্মকর্তার হাত ধরে অবাধে বিচরণ করছে শহরের মধ্যে দিয়ে। জমি চাষ করার কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর এর পিছে বডি বানিয়ে ইট,বালু, মাটি সহ নানা ধরনের নির্মান সামগ্রী বহন করে শহরের পরিবেশ নষ্ট করছে ওরা । এ ছাড়াও জমিতে সেচার কাজে ব্যবহৃত স্যালো মাশিন দিয়ে যে যার ইচ্ছামতো তৈরি করছে নসিমন, করিমন নামে বিকট শব্দের ভৌতিক কিছু গাড়ি, এই গাড়ি চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে শব্দ দূষণ নষ্ট করছে শহরের পরিবেশ।
গোপান সূত্রে জানাজায় গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের ছত্রছায়া এই অনুমোদন বিহীন গাড়ি চলছে শহরের ব্যাস্ততম রাস্তায়। গোপালগঞ্জ জেলার সদ্য যোগদানকারী জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান শহরের সড়ক পথে সকল অবৈধ গাড়ি চলাচলের নিষেধাজ্ঞা জরি করলেও বাস্তবায়নে কোন অগ্রগতি চোখে পড়ছে না। কারণ যে ওঝা ভূত ছাড়াবে তাকেই ভূতে ধরেছে। ওপর দিকে দেখা গেছে শহরের ব্যস্ততম রাস্তায় প্রচুর পরিমাণে ইজি বাইক, অটো রিকশা চলাচলে সাধারন মানুষের পথচলায় বাঁধা সহ সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। শহরের এই পরিবেশ সৃষ্টি করার একমাত্র কারিগর গোপালগঞ্জ পৌরসভা। গোপালগঞ্জ সদর পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র লাইসেন্সের নামে জেলার ৫টি উপজেলার হাজার হাজার গাড়ি অনুমোদন দেন শহরে চলাচলের জন্য। অতিরিক্ত গাড়ির কারণে শহরের ব্যস্ততম সকল রাস্তা জন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
বিগত সরকার দ্বারা পরিচালিত পুলিশ বাহিনী সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী দাপটে সাধারল মানুষ অধিকার হারিয়েছিল। ৫ই আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। দেশ সংস্কারের ও সাধারণ মানুষের দাবি ও মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে তত্মাবধায়ক সরকার গঠন হয়। বিগত সরকারের পলিত বাহিনীর নানা বিধি অপকর্মের কারণে বঙ্গবন্ধু কন্যা ডিজিটাল বাংলার রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়। বঙ্গবন্ধু কন্যার এই দেশ উন্নয়নে ব্যাস্ত থাকার সুযোগ নিয়ে তার পরিবারের কিছু অর্থ লোভী সদস্য, পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা, সরকারের বড় বড় আমলা, বিভিন্ন প্রকৌশলী বিভাগ লুটপাটের রাজত্ব সৃষ্টি করে হাতিয়ে নিয়েছিল লক্ষ হাজার কোটি টাকা, বিনিময়ে দেশকে ঠেলে দিয়েছিল দেওলিয়ার পথে। ছাত্র আন্দোলনের চাপের মুখে সরকার পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি সেই সকল বিভাগ। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে আগের মতই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কর্মকাণ্ড। ঘুরে ফিরে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সাধারন মানুষ।
গোপালগঞ্জের অভিভাবক হিসাবে সাধারন মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে জেলার চলমান সকল সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহন সহ বাস্তবায়ন করার আবেদন জানান জেলা প্রশাসকের নিকট সাধারন শান্তিকামী মানুষ। অনুমোদন বিহীন ট্রলি, ট্রক্টর নশিমন করিমন, গাড়ি রান্তায় চলাচল বন্ধ করার লক্ষ্যে গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপারের কাছে জোর দাবি জানান গোপালগঞ্জবাসী।