একজন মানুষও হতদরিদ্র থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৩-০৭-০১, ১০:৪১ অপরাহ্ন /
একজন মানুষও হতদরিদ্র থাকবে না : প্রধানমন্ত্রী।

প্রকাশিত,০১, জুলাই,২০২৩

মোঃ শিহাব উদ্দিন গোপালগঞ্জঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার বাবা এই দেশ স্বাধীন করে গেছেন। তার স্বপ্ন পূরণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়া আমার লক্ষ্য। আজকে দেশে হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা মাত্র পাঁচ শতাংশ। সেটাও যেন না থাকে সেই ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। দেশের একজন মানুষও হতদরিদ্র থাকবে না।

শনিবার (১ জুলাই) দুপুরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকেরই ঘর-জমি ও জীবিকার ব্যবস্থা আমরা করতে পারব ইনশাল্লাহ। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ওষুধ দিচ্ছি, শিক্ষার ব্যবস্থা করছি। আড়াই কোটি শিক্ষার্থীকে আমরা বৃত্তি দিচ্ছি। এছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজের মধ্য দিয়ে আমরা মানুষকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশ লাখো শহীদের রক্তের বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশের জন্য জাতির পিতা সংগ্রাম করে গেছেন। এই বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। বাংলাদেশের মানুষ মর্যাদা নিয়ে চলবে। সেটাই আমি চাই।
তিনি আরও বলেন, যারা চায়নি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসুক, এ দেশের মানুষ পেট ভরে ভাত খাক, চিকিৎসা পাক, শিক্ষা পাক তাদের কাছে আমার চ্যালেঞ্জ। আমার বাবা যে লক্ষ্য নিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছেন সেটা আমি পূরণ করবো। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন করা এটাই আমাদের লক্ষ্য।

সরকারপ্রধান বলেন, নিজের ভাগ্য গড়তে আসিনি, এসেছি বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মা সেতু। অনেকেই মিথ্যা অপবাদ দিতে চেয়েছিল। নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করেছি। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। আর এই শক্তিটা আপনারাই জুগিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কিছু মানুষ আছে যারা দেশের ভালো কিছু চোখে দেখতে পায় না। যারা চোখ থাকতেও অন্ধ তাদেরকে কিছু বলার নেই। শুধু এতটুকুই বলব তারা চোখে দেখে না কিন্তু ঠিকই ভোগ করে। তাদের ব্যাপারে করুণা ছাড়া আর কিছু করার নেই এবং তাদের আমি করুণাই করি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ৮টায় গণভবন থেকে সড়কপথে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হন। ৮টা ৫০ মিনিটে পদ্মা সেতু হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি কোটালীপাড়া পৌঁছান। এ সময় স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। স্লোগানে স্লোগানে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নেন। পরে তিনি কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে কার্যালয় চত্বরে তিনটি গাছের চারা রোপণ করেন সরকারপ্রধান। এ সময় সঙ্গে ছিলেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।