প্রকাশিত,০৯, অক্টোবর,২০২৩
অনলাইন ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস আর ইসরায়েলের সেনাদের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার ৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় পার হলেও এখনও গাজা উপত্যকার নিকটবর্তী কিছু অঞ্চলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।
ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এখন পর্যন্ত তাদের ৭০০ নাগরিক মারা গেছে, যার মধ্যে দক্ষিণ ইসরায়েলে একটি সঙ্গীত উৎসবেই মারা গেছে ২৫০ জনের বেশি। অন্যদিকে ফিলিস্তিন বলছে যে ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় ৪১৩ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছে এখন পর্যন্ত।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে যে তারা কিছুক্ষণ আগে হামাসের অন্যতম প্রধান ঘাঁটিতে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে। জাবালিয়া অঞ্চলে হামাসের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপর্ণূ একটি মসজিদ ছিল লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে অন্যতম।
অন্যদিকে হামাসও ইসরায়েলের দিকে রকেট ছোঁড়া অব্যাহত রেখেছে। শনিবার ভোর থেকে ইসরায়েলের ভেতরে হামাসের এই আকস্মিক রকেট হামলা শুরু হয়।
দক্ষিণ ইসরায়েলের কিব্বুতজ রে’ইম অঞ্চলের নেগেভ মরুভূমিতে চলতে থাকা সঙ্গীত উৎসব ছিল স্থল হামলার প্রাথমিক লক্ষ্য। এই ‘সুপারনোভা ফেস্টিভালে’ সশস্ত্র হামাস সদস্যরা হামলা চালায় শনিবার ভোরে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার ভোরে উৎসব স্থলে কয়েকটি গাড়িতে করে উপস্থিত হয়ে উৎসবে অংশ নেয়া মানুষের ওপর গুলি চালানো শুরু করে হামাস সদস্যরা।
এরপর কিব্বুতজ রে’ইমের আবাসিক এলাকাগুলোতেও হামলা চালায় হামাস।
হামাসের হামলার জবাবে পাল্টা আক্রমণে ইসরায়েলের বাহিনীর রকেট হামলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাজা উপত্যকার সব ধরনের স্থাপনা। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২৩ হাজারের বেশি মানুষ ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
এর মধ্যে ৭৪ হাজার মানুষ জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে রবিবার রাতে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে জানানো হয় জাতিসংঘের পক্ষ থেকে।
গত ১৭ বছর ধরে গাজার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখা হামাস বলেছে তারা ‘প্রতিশোধমূলক’ হামলা অব্যাহত রাখবে।
গাজার সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে হামাসের এই হামলা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
এই হামলা অনেকেই উদযাপন করছেন, আবার অনেকেই দীর্ঘ যুদ্ধের আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন
সূত্র, বিবিসি,
আপনার মতামত লিখুন :