ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ায় শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২২-০৬-২৮, ৯:৪৯ অপরাহ্ন /
ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ায় শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।

প্রকাশিত,২৮, জুন,২০২২

সাভার প্রতিনিধ ঃ

ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ায় শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।

সাভারের আশুলিয়া যে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার কে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ-বিক্ষোভে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ..!

তারা হত্যাকারী মোঃ আশরাফুল ইসলাম জিতুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ। তারা আরো বলেন
ঘটনার ৩ দিন হলেও পুলিশ অভিযুক্ত সেই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

অনতিবিলম্বে হত্যাকারী কে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা।

দুইদিন হসপিটালের বেডে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হেরে গেলেন মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার..(৩৫)!! উল্লেখ্য, সিসি ক্যামেরায় যাতে ধরা না পড়ে তাই কারেন্টের সুইচ অফ করে স্কুলের মধ্যে বসে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে শিক্ষককে পিটিয়ে মাথায় গুরুতর জখম করেছিল ঐ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ আশরাফুল ইসলাম জিতু!

সোমবার (২৭ জুন) সকাল ৬টার দিকে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এর আগে গত শনিবার (২৫ জুন) দুপুর ২টার দিকে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে ওই শিক্ষকের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এক ছাত্র।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান বলেন, ‘আমাদের স্কুলে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলছিল। দুপুরে মাঠের একপাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষক উৎপলকে হঠাৎ করে এসে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে এই ছাত্র।
স্ট্যাম্পের আঘাতে শিক্ষকের মাথায় জখম হয়। উৎপল স্যার স্কুলের শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি। তিনি ছাত্রদের বিভিন্ন সময় চুল কাটতে বলাসহ বিভিন্ন আচরণগত সমস্যা নিয়ে কাউন্সেলিং করেন। বিভিন্ন অপরাধের বিচারও করেন তিনি। হয়ত কোনো কারণে সেই শিক্ষকের ওপর ছাত্রটির
ক্ষোভ ছিল।