অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় নারী ও শিশুসহ প্রায় ছয় হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে। এদিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রাহমান বিন জসিম আল থানি বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে যে পরিমাণ শিশু নিহত হয়েছে তার চেয়ে বেশি শিশু নিহত হয়েছে গাজায়।
তিনি বলেন, গাজায় নিহত শিশুর সংখ্যা ইউক্রেনের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেলেও একই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। এর আগে গত মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বলেন, আমরা এমন আচরণ করছি যেন ফিলিস্তিনি শিশুদের জীবনের কোনো গুরুত্ব নেই, তারা যেন নাম-পরিচয়হীন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আকস্মিক হামলা চালায় রাশিয়া। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত ইউক্রেন যুদ্ধ বা সেখানকার হতাহতদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বকে যেভাবে তৎপর আচরণ ও সহায়তা দিতে দেখা গেছে তার ছিটেফোঁটার দেখাও মিলছে না গাজা উপত্যকায়।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই সেখানে অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। গত কয়েকদিন ধরে গাজা উপত্যকায় টানা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা।
ক্রমাগত বিমান হামলায় প্রতিদিন শত শত মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে যার মধ্যে অধিকাংশই শিশু। কিন্তু এই সংঘাতে ইসরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। অপরদিকে নিরীহ, নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সেভাবে কোনো সহায়তাই পাচ্ছে না। এমনকি সেখানে দিন দিন মানবিক সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠছে।
এদিকে ইসরায়েলের বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত হয়েছেন। তবে অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে তার গর্ভের সন্তান। গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিহত ওই নারীর ডেলিভারির মাধ্যমে সদ্যজাত শিশুটিকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, শিশুটি ঘুমিয়ে আছে। তাকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে এবং তার শরীরে বেশ কিছু টিউব লাগিয়ে রাখা হয়েছে। দক্ষিণ গাজার নাসের হসপিটালের নবজাতক ইউনিটে শিশুটি চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :