অরক্ষিত সীমান্তে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকিতে দেশ।


deshsomoy প্রকাশের সময় : ২০২৪-০২-০৯, ৯:০০ অপরাহ্ন /
অরক্ষিত সীমান্তে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকিতে দেশ।

প্রকাশিত,০৯, ফেব্রুয়ারি,২০২৪

মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টারঃ

ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, জনবিচ্ছিন্ন ডামী আওয়ামী সরকার সীমান্ত অরক্ষিত রেখে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্ত্বাকে হুমকীতে ফেলে দিয়েছে।মিয়ানমারের সীমান্তে মর্টারশেলের আঘাতে বাংলাদেশে দুইজন নিহত হওয়ার পরও যখন প্রধানমন্ত্রী বলেন ধৈর্য ধরতে, তখন আর বুঝতে বাকী থাকে না যে, এ সরকার শুধু দেশে বিরোধী দল দমন-পীড়ন করতেই এক্সপার্ট। জাতীয় নিরাপত্তা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণকে হামলা-মামলা ও বন্দুকের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে অন্যের সেবাদাসত্ব গ্রহণ করাই সরকারের রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। তাই একের পর এক বাংলাদেশীদের লাশ উপহার পাচ্ছি। দেশবাসীর প্রশ্ন তাহলে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের দায়িত্ব কি শুধু বাংলাদেশিদের লাশ গ্রহণ করা? বিগত পনের বছর যাবত আমরা যা দেখে আসছি তা কি তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ নয়? গত কয়েক বছর ধরে রোহিঙ্গা ইস্যু এবং সীমান্ত হত্যা নিয়ে ক্রমাগত কূটনৈতিক ব্যর্থতা ব্যর্থ নতজানু পররাষ্ট্র নীতির বহিঃপ্রকাশ।
আজ ৯ ই ফেব্রুয়ারী’২৪ খ্রি. বিকাল ৪টায় রাজধানীর পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি আলহাজ্ব হাসমত আলী, ইন্জিনিয়ার মুহাম্মাদ মুরাদ হোসেন, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, মুফতি নিজামউদ্দিন, মুফতি আরমান হুসাইন, ডাক্তার মুজিবুর রহমান, এবিএম রাকিবুল ইসলাম, মুহাম্মাদ নাজমুল হাসান প্রমূখ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে রাষ্ট্র ও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সীমান্ত সুরক্ষিত রাখা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান দায়িত্ব। সীমান্তসংলগ্ন মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সৃষ্ট সহিংস সংঘর্ষে ডামি সরকারের নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় বাংলাদেশের মানুষ হতাহতের ঘটনাসহ জাতীয় সার্বভৌমত্বকে অবজ্ঞা করার নামান্তর।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের যুগ্ম মহাসচিব ও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম বলেন, রমজান আসার পূর্বেই রমজানের নিত্যপ্রয়োজীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। রোজা উপলক্ষে সরকার শুল্ক কমালেও ব্যবসায়ীরা বলছে দাম কমাবে না। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা কতটা বেপরোয়া হলে সরকারের উপরে এমন কথা বলতে পারে তা ভাববার বিষয়।
সভাপতির বক্তব্যে প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, যেখানে সীমান্ত হত্যার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে তীব্র প্রতিবাদ জানানো ও কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলা করার কথা, সেখানে সরকার শুধু ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের অবস্থান গ্রহণ নতজানু পররাষ্ট্র নীতির বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছু না। জনসমর্থনহীন সরকার সীমান্ত নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আমরা পরিস্কার ভাষায় বলছি, সীমান্তে আর একজন বাংলাদেশীর লাশও দেখতে চাই না।
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির তীব্র সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, ডলার সংকটের দোহাই দিয়ে দেশীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি মধ্যসত্বভোগীদের কাছে সরকার জিম্মি বলে প্রমাণ করে। সরকার সংশ্লিষ্ট কোন কর্তৃপক্ষই পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরতে পারছে না।