প্রকাশিত,১৭,নভেম্বর
মোঃ শিহাব উদ্দিন
গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।
গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা সহ সমগ্র জেলায় ভূমি দস্যুদের দখলে অধিকাংশ সরকারি জামি। ওরা দখল করে নির্মান করছে বিভিন্ন ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও বিঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান অবৈদ ভাবে সরকারি জায়গা দখলদারদে হুশিয়ারী ও সরকারি যায়গার উপর নির্মান করা স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিলও, দখলদাররা বিভিন্ন পন্থায় তা টিকিয়ে রেখে ক্ষমতা জাহির করার পায়তারা ছুটে বেড়াচ্ছে িউপর মহলের দারে দারে। ইতি মধ্যে জেলা প্রশাষনের উদ্দ্যেগে গোপালগঞ্জের লঞ্চঘাট এলাকার কথিত বিএনপি নেতা ও পাচুড়িয়া এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করে সাধারন মানুষের কাছে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। এ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানা যায় জেলা প্রশাসনের
সরেজমিনে গণমাধ্যম কর্মীদের এক গোপনে ছায়া তদন্তে উঠে আসে দখলদাররা বেশির ভাগই বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নাম ভাঙ্গানো সুবিধাবাদী নেতারা।বিগত সরকারের আমলে বিগত সরকারে আমলে নেতা কর্মী, স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের হাত ধরে কিছু সংখ্যক সুবিধাবাদীরা যে যার ইচ্ছা মত শহরের বিভিন্ন ব্যস্ততম এলাকার সরকারি জায়গা দখল করে ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান নির্মান করে সুবিধা ভোগ করেছিল।দেশের ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে পট পরিবর্তন হলেও দখলদারের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা সমগ্র জেলা।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের ভিতরের রাস্তার পাশে, মেইন গেটের দুই পাশে, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের চার পাশ ঘিরে, শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে, সদর উপজেলার মার্কাস মসজিদ কবর স্থান সংলগ্ন এলাকা সহ গোপালগঞ্জের কুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন সংলগ্ন ঢাক খুলনা মহাসড়কের দুই পাশে জায়গা দখল করে বিভিন্ন ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে ভূমি খেকরা । এ ছাড়াও জেলার ৫টি উপজেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা নদী, নালা, খালবিল দখল করে নির্মান করছে অবৈধ স্থাপনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে নদীর-খালের পনি চলাচলের গতিপথ।গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা লতিফপুর ইউনিয়নের চর মানিকদাহ গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা মধুমতি নদীর সাথে সংযোগ খালটি অবৈধ দখলদারদের কালো থাবায় নাম নিশানা পর্যন্ত হারিয়েছে। এভাবে সদর উপজেলার পুরাতন মানিকদাহ গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা খালটি (ফকরুল চেয়ারম্যান এর ভাটা ও সাবেক আওয়ামী লীগ সভাপতি এমদাদ চৌধুরির বড়ির পাশ)ভূমি দস্যুদের দখলে বর্তমান প্রজন্ম জানেনা যে এখানে কোনোদিন কোন বহমান খাল মধুমতি নদের সাথে সংযোগ ছিল। এরূপ গোপালগঞ্জের বহু বহমান খাল অবৈধ দখলদারদের দখলে চলে গেছে। এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি অকর্ষণ সহ পূন উদ্ধারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন গোপালগঞ্জ বাসী।
রাজনৈতিক সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে কিছু সংখ্যক সুবিধাবাদীরা এই সকল দখলদারি, চাঁদাবাজি, সাধারণ মানুষ কে ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ নানা রকম অপকর্ম করে দেশের ও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এরা সাধারণত কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের নয় এরা সুবিধাবাদী দল। যে সরকার ক্ষমতায় অসুখ এদের রূপ পালটাতে সময় লাগে না। এরা সমাজ ও জাতির শত্রু। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এ ব্যপারে গোপালগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা মেজিস্ট্রেট এর সুদৃষ্টি কামনা করছেন গোপালগঞ্জে সাধারণ মানুষ।
আপনার মতামত লিখুন :