অনুমোদনের দুই বছরেও শুরু হয়নি গলাচিপা সেতুর নির্মাণ।


দেশ সময় প্রকাশের সময় : ২০২৪-১২-২১, ৯:৪৬ অপরাহ্ন /
অনুমোদনের দুই বছরেও শুরু হয়নি গলাচিপা সেতুর নির্মাণ।

প্রকাশিত,২১,ডিসেম্বর

সঞ্জিব দাস ,গলাচিপা পটুয়াখালী ,প্রতিনিধি

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন পাওয়ার দুই বছর পরও শুরু-ই হয়নি গলাচিপা সেতুর নির্মাণ কাজ। স্থানীয় প্রশাসন এখনও জানে না এর নির্মাণ কাজ কবে শুরু হবে। অথচ ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা ছিল। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রস্তাবিত গলাচিপা উপজেলায় রামনাবাদ নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২১ কোটি টাকা। এটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তর।
স্থানীয়দের আশা, সেতুটি নির্মাণ হলে ভোগান্তি কমে বরিশাল বিভাগীয় সদর ও পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলার সঙ্গে গলাচিপা উপজেলার নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ আরও সহজ হবে।
প্রতিদিন এই নদী দিয়ে ফেরি পারাপার হয়ে জেলা, বিভাগ ও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করছে শতাধিক যানবাহন। সময়, খরচ সব মিলিয়ে সাধারণ জনগণ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন-ই, তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে গুরুতর রোগী ও তাদের স্বজনরা। সেতুটির অভাবে ভোগান্তিতে দিন পার করছেন গলাচিপাসহ পাশের উপজেলা রাঙ্গাবালী ও দশমিনার প্রায় ১০ লাখ মানুষ। গাড়িচালক মো. রনি বলেন, গত ৩০ বছর ধরে শুনে আসছি গলাচিপা সেতুটি হবে। কিন্তু বাস্তবে কোনো কার্যক্রম চোখে পরছে না। আমাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হয়। সাবেক এক সেনা সদস্য বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসছি ব্রিজ হবে, কিন্তু হচ্ছে না। বিভিন্ন সময় সরকার পরিবর্তন হলেও কার্যকর কিছুই হচ্ছে না। জীবিত অবস্থায় ব্রিজটি দেখে যেতে পারবো কি না জানি না।
পঞ্চাশ ঊর্ধ্বো এক ব্যক্তি জানান, ১৯৯৬ সাল থেকে ব্রিজ হওয়ার কথা শুনছি। ব্রিজটি হলে রাঙ্গাবালী, দশমিনা, বাউফল এবং কালাইয়ার জন্য খুব ভালো হয়। গণ অধিকার পরিষদের গলাচিপা উপজেলা শাখার আহবায়কের আশা শিগগিরই এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশ পটুয়াখালী জেলা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ইহাইয়া খান বলেন, যে এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থা যতো ভালো, সে এলাকা ততো উন্নত হয়। ব্রিজটি নির্মাণ হয়ে গেলে গলাচিপা আর অবহেলিত থাকবে না।
গলাচিপা বিএনপির উপজেলা শাখার সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ব্রিজটি লাখ লাখ মানুষের প্রাণের দাবি। কাজেই সেতুটি জরুরিভিত্তিতে নির্মাণ হওয়া প্রয়োজন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান জানান, রামনাবাদ চ্যানেলে সেতুটি বর্তমানে প্রস্তাবিত ও অনুমোদিত। তবে এর নির্মাণ কাজ কবে নাগাদ শুরু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেন নাই তিনি।